রসায়নে নোবেল ২০২২: ক্লিক রসায়নে বাজিমাত

শত শত বিক্রিয়কের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত দুজনের মিলনের ফলে তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত সেই উৎপাদ। ব্যারি শার্পলেস ও মর্টেন মেলডালের হাত ধরে এ প্রক্রিয়া ‘ক্লিক রসায়ন’ নামে পরিচিতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে ঔষধ শিল্প,ডিএনএ ম্যাপিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। অন্যদিকে ক্যারোলিন বার্টোজি এই ক্লিক রসায়নকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। জীবদেহের কোনো ক্ষতি ছাড়াই জীবকোষে ক্লিক বিক্রিয়াকে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বায়োঅর্থোগোনাল এ বিক্রিয়ার দ্বারা ক্যানসার চিকিৎসা অনন্য এক মাত্রা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

article

মানব বিবর্তনের গবেষণায় চিকিৎসায় নোবেল

‘আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব’ এমন কাজটিকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন সোয়ান্তে পেবো। মানুষের নিকটতম প্রজাতি নিয়ানডার্থালদের জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন তিনি। একইসঙ্গে আবিষ্কার করেছেন নতুন এক হোমিনিন সদস্য, যার নাম ‘ডেনিসোভা’। তিনি দেখিয়েছেন- বিলুপ্ত এসব প্রজাতির সঙ্গে হোমো স্যাপিয়েন্সের জিন বিনিময় হয়েছিল প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে,যার প্রমাণ এখনো রয়ে গেছে মানুষের শরীরে। এছাড়া প্যাবোর গবেষণা ‘প্যালিওজিনোমিকস’ নামে বিজ্ঞানের একদম নতুন এক শাখার সূচনা করেছে।

article

কারেন হর্নাই: ফ্রয়েডের ‘আজগুবি’ তত্ত্বের প্রথম বিরোধিতাকারী নারী

মনোবিজ্ঞানের উন্নয়নে কারেনের ছিল ব্যাপক অবদান। তিনি শুধু স্নায়বিকতা বিষয়েই কিছু অতি-গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেননি। নারীদের প্রতি মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও গবেষণা করেছেন তিনি। ভুলে গেলে চলবে না, বিংশ শতকের শুরুর দিকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো মনোবিজ্ঞানেও চলছিল পুরুষের আধিপত্য। ফলে পুরুষতান্ত্রিকতার নিগড়ে বন্দি ছিল এই তাৎপর্যপূর্ণ খাতটিও। বিশেষত ফ্রয়েডকেই এই পরিসরের ঈশ্বরজ্ঞান করতেন অনেকে। সেরকম একটি পটভূমিতে একজন নারীর মনঃসমীক্ষক হয়ে ওঠা, এবং সরাসরি ফ্রয়েডের তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া কোনো অংশে কম বৈপ্লবিক বিষয় নয়।

article

জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি: অমিত সম্ভাবনার আলো ও শঙ্কার ঘনঘটা

জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যদি কোনো পরিবার বা জনপদে বধিরতা দূর করার চেষ্টা করতে শুরু করি, তাহলে তা প্রকারান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভাষিক-সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী নির্মূলকরণেরই সমার্থক হয়ে উঠবে, যা কিনা ভয়ানকভাবে জাতিসংঘ-স্বীকৃত ‘গণহত্যা’র সংজ্ঞার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ

article

জলবায়ু পরিবর্তন: টিকে থাকার লড়াইয়ে প্রাণীরা শারীরিক গঠন পরিবর্তন করছে?

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমশ বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। তাপমাত্রার উর্ধ্বগতি দেশে দেশে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীদের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে। পরিবর্তিত পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টায় তারা নতুন জীবন ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে শিখছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেদের শারীরিক গঠনই পরিবর্তন করে ফেলার মতো নতুন করে একটি তথ্য এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। বলা হচ্ছে, প্রাণী প্রজাতি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তাদের কান, লেজ, ঠোঁট এবং অন্যান্য উপাঙ্গের আকার পরিবর্তন করছে।

article

ফিটাস ইন ফিটু: একটি ভ্রূণের মধ্যে যখন বেড়ে ওঠে অন্য এক ভ্রূণ

‘Fetus within fetus’ থেকেই মূলত ‘ফিটাস ইন ফিটু’ টার্মটি এসেছে। এটি এমন এক দুর্লভ জন্মগত সমস্যা যেখানে গর্ভস্থ একটি ভ্রূণের মধ্যেই বেড়ে ওঠে অন্য এক ভ্রূণ। নিভৃতে বেড়ে ওঠা এ ভ্রূণ মূলত অপর ভ্রূণেরই যমজ ভাই বা বোন। মায়ের গর্ভে নীরবে বেড়ে ওঠা সে যমজ ভাই বা বোনের কারণেই কখনোবা অতি অল্প বয়স্ক মেয়েকে সন্তানসম্ভবা কিংবা বয়স্ক পুরুষকে গর্ভবতী বলে মনে হয়!

article

সাপের বিষের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা যেভাবে গড়ে উঠেছে কিছু প্রাণীর দেহে

১৯৭৬ সালে ন্যাশনাল ন্যাচারাল টক্সিন্স রিসার্চ সেন্টারের এক ছাত্র সাপদের খাবার দিতে গিয়ে সাপের খাচায় ছেড়ে দেয় উডর‍্যাটকে। সে ভেবেছিল, আর দশটা রোডেন্টের মতোই তার পরিণতিও একই হবে- মৃত্যু

article

হিলিয়াম-৩: চাঁদের মাটিতে সঞ্চিত ভবিষ্যতের জ্বালানী?

আমেরিকার ‘নাসা’, রাশিয়ার ‘রসকসমস’, বা ভারতের ‘ইসরো’ – সবাই কেন চাঁদে বা অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহে একের পর এক মিশন পরিচালনা করছে? এগুলোর মিশন কি শুধুই নতুন নতুন উদ্ভাবনী আর মানবমনের কৌতুহল মেটানো?

article

বাঁহাতিরা কেন হারিয়ে যায়নি?

পরিসংখ্যান বলছে, যেকোনো পপুলেশনের মধ্যে বাঁহাতি মানুষ থাকতে পারে মোটামুটি ১০-১২ শতাংশের মতো। অর্থাৎ আপনার আশেপাশে যারা আছেন, তাদের মধ্যেও আপনি প্রতি ১০০ জনে এই ১০-১২ জনের চেয়ে খুব বেশি বা খুব কমসংখ্যক বাঁহাতি দেখবেন না।

article

End of Articles

No More Articles to Load