এক্সট্রা অর্ডিনারি (২০১৯): সত্যিকারের ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি’ আইরিশ হরর কমেডি কেন ভূতদের আমরা সবসময় দেখি না? সত্যিটা হলো, ভূতেরা সারাক্ষণই আমাদের সাথে থাকে…
ডুন: ফ্র্যাংক হারবার্টের ম্যাগনাম ওপাস আজও ফ্র্যাংক হারবার্টের অনবদ্য এই সৃষ্টির আবেদন বিন্দুমাত্র কমেনি
দ্য কনজুরিং ইউনিভার্সের অজানা যত দিক রোমাঞ্চে পুঞ্জিভূত জাম্প স্কেয়ার এবং পর্দার গা ছমছমে পরিবেশে কাঁথা-কম্বল মুড়িয়েও হাড় হয়ে যায় হিম, পেতে হয় চরম ভয়। শুধু হরর সিনে ইউনিভার্সই নয়, পুরো হলিউডেই কনজুরিংকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি বলে বিবেচনা করা হয়। প্রাচীন লোককথা, বাস্তবতা, ও কল্পনার আশ্রয়ে গড়া দ্য কনজুরিং ইউনিভার্সের জানা-অজানা কিছু বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা।
ব্ল্যাকফায়ার রেবেলিয়ন: টারগেরিয়্যান হাউজের আরেক গৃহযুদ্ধ | শেষ পর্ব সেভেন কিংডমস ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরিকল্পনা শুনে প্রিন্স ডানক্যান মজা করে বলেছিলেন “এক পেনিতে নয়টা মুকুট বেঁচাকেনা হচ্ছে”। এই ঘটনা থেকেই ব্যান্ড অভ নাইনের সদস্যদের জন্য ‘নাইনপেনি কিংস’ ছদ্মনাম প্রচলিত হয় এবং পঞ্চম ব্ল্যাকফায়ার রেবেলিয়ন পরিচিত হয় ‘ওয়ার অভ দ্যা নাইনপেনি কিংস’ হিসেবে।
লিটল সিজার: ইতিহাসের প্রথম গ্যাংস্টারধর্মী সিনেমা এবং মার্ভিন লেরয়ের সেরা ৫ (পর্ব ২) নিউজিল্যান্ডের সাংবাদিক ডেভিড ফ্যারিয়ার, জীবনের অদ্ভুত ব্যাপারগুলো তাকে বরাবরই খুব বেশি টানে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ডার্ক ট্যুরিস্ট হবার। কোনো চমৎকার সৈকত কিংবা মনোরম রিসোর্টে নয়; বরং মৃত্যু, বিষাদগ্রস্ত ঘটনাবলী জড়িত আছে এমন জায়গাগুলোতেই তার ভ্রমণ।
ডার্ক প্লেসেস: অন্তর্ভেদী এক আমেরিকান উপন্যাস ফ্লিন কিন্তু আরো একটি উপন্যাস লিখেছেন। ‘ডার্ক প্লেসেস’ নামে। সিনেমাও হয়েছে। তবে সেটা সুখকর কিছু হয়নি বিধায়, নামটি চাপা পড়ে গেছে। বলে রাখা ভালো, সাহিত্যের পাশাপাশি তিনি সিনেমার চিত্রনাট্যও লিখেছেন। ‘গন গার্ল’-এর সিনেমাটিক সংযোজনের চিত্রনাট্য তারই লেখা। স্টিভ ম্যাককুইনের ‘উইডোস’-এরও সহকারী চিত্রনাট্যকার ছিলেন।
অপারেশন সুন্দরবন: জলদস্যুর বিরুদ্ধে র্যাবের সাহসী অভিযান! কোর্সমেট লেফটেন্যান্ট রিশান এবং মেজর সায়েম চরিত্র দুটো সত্যিকারার্থে মুগ্ধ করেছেন শারীরিক ভাষায়।
ব্ল্যাকফায়ার রেবেলিয়ন: টারগেরিয়্যান হাউজের আরেক গৃহযুদ্ধ ‘ব্ল্যাকফায়ার’ ছিল এয়গন দ্যা কনকোয়ারারের তলোয়ার, যে তলোয়ার হাতে তিনি ওয়েস্টরসের সাত রাজ্য জয় করেন। টারগেরিয়্যান হাউজের প্রথা অনুযায়ী আয়রন থ্রোনের উত্তরাধিকারকেই এই তলোয়ার সম্প্রদান করা হয়। তলোয়ার পেয়ে ডেইমন নিজের শেষ নাম ওয়াটার্স থেকে ‘ব্ল্যাকফায়ার’-এ বদলে দেয়। ডেইমন ওয়াটার্স পরিণত হয় ডেইমন ব্ল্যাকফায়ারে! এখান থেকেই এয়গনের কোর্ট দুই দলে ভাগ হওয়া শুরু করে- একদল প্রিন্স ডেইরনের সমর্থক, আরেকদল ডেইমনের
‘ওয়াচার’ এন্ড ‘মেন’: যেখানে ঘাড়ের উপর পড়তে থাকে পুরুষশাসিত সমাজের কদর্য নিঃশ্বাস ‘ওয়াচার’ এবং ‘মেন’, জনরার দিক থেকে দুটোই হরর এবং সাইকোলজিক্যাল ড্রামার অলংকার সমানভাবে শেয়ার করেছে। তবে যেই কারণে একই আর্টিকেলে দুটোকে বাঁধা তা হলো, দুটোতেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমরা দুই ট্রমাটাইজ তরুণীকে দেখি, যারা ট্রমাটাইজ মূলত এই পুরুষশাসিত সমাজের কুৎসিত হাসি আর ঘাড়ের উপর নোংরা নিঃশ্বাসের কারনে। সেই নারীবাদী কোণ এবং বাস্তব জীবনের হরর থেকেই এক পিঠে বাঁধা হয়েছে এই দুটো সিনেমার আলোচনাকে।
কেমন হলো রায়হান রাফির ‘এক্সপেরিমেন্ট’ নিঃশ্বাস? আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, বায়োকেমিস্ট্রি থেকে পড়ালেখা করা একজন যুবক, যিনি তার ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন কিংবা যার চাকরি চলে গিয়েছে, তিনি হঠাৎ কড়া ধার্মিক হয়ে উঠছেন, তার বউকে বোরকা পড়ার তাগাদা দিচ্ছেন, শেষে ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে পড়ছেন জঙ্গিবাদের দিকে।